বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৭:১২, ৮ মে ২০২১

ভারতের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন

ভারতের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন

ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে রণতরীটিতে আগুন লাগে বলে দেশটির নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাবিকদের থাকার জায়গা থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। ঘটনার সময় জাহাজটি কর্ণাটকের কারওয়ার বন্দরে ছিল। কী কারণে জাহাজটিতে আগুন লেগেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে নৌবাহিনী।

২৮৪ মিটার লম্বা এই রণতরীটিতে কর্মরত রয়েছে প্রায় দেড় হাজার কর্মী। ফলে জাহাজটিকে কার্যত একটি ভাসমান শহর বা নৌঘাঁটি বলা যেতে পারে। রণতরীটিতে রয়েছে প্রায় ৩৬টি যুদ্ধবিমান। ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানকে রুখে দিতে ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ‘বিক্রমাদিত্য’।

প্রসঙ্গত, ২০১৩-তে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্য। রুশ নির্মিত এই রণতরীতে রয়েছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, বারাক মিসাইল-সহ একাধিক শক্তিশালী অস্ত্র।

১৯৮৭-তে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীতে ‘বাকু’ নামে এই জাহাজটি অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ১৯৯২-তে ‘অ্যাডমিরাল গর্শকভ’ নামে এটি অন্তর্ভুক্ত হয় রুশ সেনাবাহিনীতে।

১৯৯৬ পর্যন্ত রুশ সেনায় কাজ করার পর, ভারতের কাছে জাহাজটি বিক্রির প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। এই যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকেই ভূমি থেকে আকাশে হামলায় সক্ষম বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা করে ভারত। আরব সাগরে হওয়া এই পরীক্ষায়, খুবই নীচ থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বারাক-৮। যার ফলে ভারতের নৌবাহিনী এবং এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের শক্তি আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ