বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:১২, ৬ জুন ২০২১

যেসব অভ্যাস হাঁটুর জন্য ক্ষতিকর

যেসব অভ্যাস হাঁটুর জন্য ক্ষতিকর

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহে নানান রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। এসময় বেশি যে সমস্যাটি দেখা দেয় সেটি হচ্ছে হাঁটু ব্যথা। যদি সবাই হাঁটু ব্যথাকে খুব সাধারণ সমস্যা হিসেবেই ধরে নেন। তবে বিষয়টি মোটেও অবহেলার নয়।

বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড়ের জোড়ে থাকা কোমলাস্থি যা হাড়ের জোড়ের ধাক্কাগুলো হজম করে নেয়, সেগুলো শক্ত হতে থাকে। এর স্থিতিস্থাপকতা যত কমে ততই বাড়ে আঘাত পাওয়া সম্ভাবনা।

শরীরচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এমন কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস সম্পর্কে জানা গেছে যা হাঁটুর ব্যথা সৃষ্টির জন্য দায়ী। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো-

হাঁটু ভাঁজ করে বসা

অনেকক্ষণ একইভাবে হাঁটু ভাঁজ করে বসে থাকলে হাঁটুর জোড়, ‘লিগামেন্ট’ ও পেশির ওপর প্রচুর ধকল যায়, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। শক্ত সমতলে বসলে কোমলাস্থি ও হাড়ের ওপর চাপ আরও বেড়ে যায়। তাই হাঁটু ভাঁজ করে দীর্ঘসময় বসে থাকা পরিহার করতে হবে।

জুতার সমস্যা

পুরানো অসমান্তরাল জুতার কারণেও হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। জুতার কারণে পায়ের ভারসাম্য ঠিক না থাকলে হাঁটুর জোড়ে অস্বাভাবিক চাপ প্রয়োগ করবে। এতে হাঁটু জোড় ও পেশি দুয়ের ওপরেই অনবরত টান পড়তে থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে দেখা দেবে ব্যথা। উঁচু হিলওয়ালা জুতাও একই ধরনের ক্ষতি করে।

অস্বস্তিকর চেয়ারে বসা

কাজের প্রয়োজনে লম্বা সময় বসে কাটান অসংখ্য মানুষ। এক্ষেত্রে চেয়ারটা যদি আরামদায়ক না হয়, চেয়ার যদি বেশি উঁচু কিংবা বেশি নিচু হয় তবে তা থেকে হাঁটুর সমস্যা তৈরি হবে ধীরে ধীরে। দীর্ঘসময় শরীরকে যেকোনো অস্বাভাবিক ভঙ্গি ধরে রাখা কোনো না কোনো হাড়ের জোড়ের জন্য ক্ষতিকর।

বসা বা দাঁড়ানোর ধরন

তরুণ বয়সে কোনো আঘাত পাওয়া ছাড়াই যদি হাঁটুর ব্যথা দেখা দেয়, তবে বুঝতে হবে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কোনো অংশই এর কারণ। বর্তমান সময়ে অসংখ্য তরুণ হাঁটু ব্যথার সমস্যা ভুগছেন। যার প্রধান কারণ দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় শারীরিক পরিশ্রমের অভাব। বসে কিংবা দাঁড়িয়ে যারা দিনের লম্বা সময় পার করেন, তাদের সেই বসা কিংবা দাঁড়ানোর ধরনের কারণে যদি হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে তবে সময়ের আগেই তা দুর্বল হতে পারে, দেখা দিতে পারে ব্যথা।

পায়ের ওপর পা তুলে বসা

সবার মাঝেই পায়ের ওপর পা তুলে বসার প্রবণতা প্রবল। এভাবে বসার কারণে এক পায়ের পুরো ওজন গিয়ে পড়ে আরেক পায়ের হাঁটুর ওপর। আর অপর পায়ের হাঁটুও কিছুটা অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। ফলে হাঁটুর জোড় আর কোমলাস্থির ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। তাই এভাবে বসা থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের ইতোমধ্যেই হাঁটুতে অস্বস্তি আছে তাদের আরও সাবধান হতে হবে।

হাঁটু শক্ত করে দাঁড়ানো

দাঁড়ানোর সময় অনেকেই হাঁটু শক্ত করে শরীরের উপরিভাগ টান টান করে রাখেন। এতে হাঁটুর কোমলাস্থি সংকুচিত অবস্থায় থাকে এবং ‘লিগামেন্ট’য়ের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। দীর্ঘদিনের এমন অভ্যাস বয়ে আনবে হাঁটুর ব্যথা। তাই দাঁড়ানো অবস্থায় শরীর যথাসম্ভব শিথিল রাখাই ভালো। দাঁড়ানোর সময় হাঁটু সামান্য বাঁকা হয়ে থাকা স্বাভাবিক। এতে হাঁটুর চারপাশের পেশি শরীরের ভার সামলাতে সাহায্য করে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ