তরুণ-তরুণীর ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, কারা তারা?
জোড় কদমে হেঁটে যাচ্ছেন এক যুবক। আর একজন তরুণী পেছন দিক থেকে কালো পাঞ্জাবি ধরে থামানোর চেষ্টা করছেন। এতে তরুণের পাঞ্জাবির পেছনের অংশ ছিঁড়ে যায়। তখন তরুণ ক্ষুব্ধ হয়ে তরুণীটিকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এভাবে কয়েক দফায় মারাধর। ঈদের দিন দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় তরুণীকে নির্যাতনের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর নেটিজেনদের প্রশ্ন উঠছে- বিষয়টি কী? কারা তারা?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ৪৬ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজনরা ভিডিওর নিচে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।
ধারণকৃত ঐ ভিডিওতে দেখা গেছে, হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে ওই যুবক তরুণীকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে কিলঘুষি মারছেন। চুল ধরে টানাটানি করছেন। ওই যুবক সামনের দিকে হাঁটতে থাকলে তরুণী পেছন থেকে যুবকের হাত ধরে। পরে খানিকটা দুজনে হেঁটে সামনে এগিয়ে গেলে যুবকটি তরুণীকে আবার ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
তরুণী উঠে পুনরায় ঐ যুবকের হাত ধরে এবং সামনে হাঁটতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয় জামাল স্যারের বাসার সামনে ঐ যুবক তরুণীটিকে চুলের মুঠি ধরে মারতে থাকেন এবং ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। এভাবে দফায় দফায় তরুণীকে মারধর করা হয়।
ঐ সময় রাস্তা দিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করলেও সাহায্য করতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণীর নাম মিম। তার বাবার নাম মো. মিলন। স্থানীয় কালাইয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় তারা বসবাস। গত এক বছর আগে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল নামের এক যুবকের সঙ্গে মিমের বিয়ে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্যাতিত ঐ তরুণীর এক আত্মীয় জানান, ঈদের দিন ঐ যুবক তার শ্বশুরের বাসায় আসেন। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে মান অভিমান করে বাসা থেকে বেড় হয়ে যান। স্ত্রীও তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে রাস্তায় বসে তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জানান, ভিডিওটি তিনি দেখেছেন। তবে নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ