স্বাস্থ টিপস
কোন রোগে কোন ফল থেকে দূরে থাকবেন

শরীর সুস্থ রাখতে আমরা খাবার তালিকায় নানা খাবার রাখি। সেই সঙ্গে রাখি নানা মৌসুমি ফলও। ডায়েটে এই দুটিই রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। শরীর সুস্থ রাখতে ফলের কোনো বিকল্প নেই। ফল মানেই ভালো, এমনই ধারণা আছে অনেকের।
ফল খাওয়া ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সবার জন্য সব ফল উপকারী নয়। প্রত্যেকেরই কমবেশি শারীরিক সমস্যা আছে।
কেউ অম্বলে বেশি ভোগেন, আবার কারো রক্তে শর্করা বেশি। যার যেমন সমস্যা, তাকে বুঝেশুনে তেমন ফলই খেতে হবে।
অম্বল আছে মানেই টকজাতীয় ফল একেবারেই খাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। বরং এমন কিছু ফল না জেনেই প্রতিদিন খাওয়া হয়, যাতে সমস্যা আরো বাড়ে।
তাই কোন রোগে কী ফল খাওয়া যায় না, তা জেনে রাখাই ভালো। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
ডায়াবেটিস
রক্তে শর্করার মাত্রা যদি ওঠানামা করে এবং নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়, তাহলে কলা ও আঙুর জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। এই দুটি ফলেই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তবে কলা বা আঙুর খাওয়া একেবারেই যে বাদ দিতে হবে, তা নয়।
খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
কিডনি রোগ
কিডনির রোগ থাকলে বেশি পটাশিয়াম আছে এমন খাবার বা ফল খাওয়া যায় না। তাই কলা, কমলালেবুর মতো ফল থেকে কিডনি রোগীদের দূরে থাকা উচিত। শুধু তা-ই নয়, খেজুর, আখরোট, কিশমিশ খেলেও কিন্তু রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাবে।
গাঁটে ব্যথা
বাতের ব্যথা, হাঁটুর ব্যথায় ভুগলে বেশি টমেটো, বেগুন না খাওয়াই ভালো। এই ধরনের সবজি প্রদাহ অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। এতে ব্যথাবেদনা আরো বাড়ে।
পেটের সমস্যায়
অতিরিক্ত গ্যাস-অম্বল, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা থাকলে আপেল, তরমুজ, চেরিজাতীয় ফল খাওয়া ঠিক নয়। এসব ফলে ফ্রুক্টোজ ও সর্বিটলের মাত্রা বেশি, যা হজমে সমস্যা করতে পারে। তা ছাড়া আপেলে ফাইবারের মাত্রা বেশি, যা বদহজমের কারণ হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা
ত্বকের কোনো রোগ, যেমন চুলকানি, অ্যাকজিমা, সোরিয়াসিস থাকলে আম, আনারস, কমলালেবুর মতো ফল না খাওয়াই ভালো। এতে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে
রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি হলে নারকেল, লেবুজাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। হাইপারটেনশন থাকলে এসব ফল মাইগ্রেনের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট