রসুনের তেল খাবেন কেন?
সর্দিকাশি হোক বা বাতের ব্যথা- রসুন তেলের যে কতগুণ তা সবাই জানেন। তা সত্ত্বেও রসুনের তীব্র, ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য অনেকে এই মসলা খেতে পারেন না। রান্না করে খেলে ততটা গন্ধ থাকে না। অনেকেই অল্প তেলে রসুন ভেজে খান। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলছে, রান্না করে খেলে রসুনের ভেষজ গুণ নষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী করণীয়?
আয়ুর্বেদে কিন্তু রসুন কাঁচা খাওয়ার কথাই বলা হয়েছে। তবে একান্ত যদি রসুনের গন্ধ অস্বস্তিতে ফেলে, সেক্ষেত্রে খোসা-সহ রসুন শুকনো খোলায় সেঁকে নিয়ে তার পর খাওয়া যেতে পারে।
সবচেয়ে ভালো হয় কাঁচা রসুন খাওয়ার পর দাঁত মেজে ফেলতে পারলে। তা হলে রসুনের গন্ধ একেবারেই থাকে না। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার পর যদি কয়েকটি পুদিনাপাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে এই দুর্গন্ধ দূর করা যায় সহজেই। বাজারে এখন রসুনের গুঁড়োও কিনতে পাওয়া যায়। কাঁচা বা রান্না করা রসুনের গন্ধের চেয়ে গুঁড়ো রসুনের গন্ধ অনেকটা হালকা। এ ছাড়া ভিনেগার বা লেবুর রসে রসুনের কোয়া ভিজিয়ে রাখলেও তার গন্ধ ম্লান হয়ে যায়।
কাঁচা রসুন হোক বা রসুনের তেল, নিয়মিত খেলে কী উপকার হবে?
১) রসুনের মধ্যে এমন কিছু সক্রিয় উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সারা শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সেই উপাদানগুলোর ভূমিকা রয়েছে।
২) রসুনের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যালিসিন’। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে এই উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণজনিত সর্দিকাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) যেহেতু রসুন খেলে প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা মনে করেন এটি রক্তে বাড়তি শর্করাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তবে শুধু ধারণার বশে নয়, ২০০৬ সালে একটি গবেষণায় তেমন প্রমাণও মিলেছে।
৪) রসুনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের পরিমাণও প্রচুর। তাই বয়সজনিত ব্যথাবেদনা কিংবা আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় আরাম মেলে।
৫) হজমের গোলমাল সারিয়ে দিতে পারে রসুন। খাবার হজমে সহায়ক বিভিন্ন উৎসেচক ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে রসুন। অন্ত্রের মধ্যে থাকা ‘খারাপ’ ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট