শনিবার   ০৯ আগস্ট ২০২৫ || ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১৩:৫৮, ৪ আগস্ট ২০২৫

ভোরে ৭টি খেজুর খাওয়া নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

ভোরে ৭টি খেজুর খাওয়া নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে
সংগৃহীত

খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। শুধু পুষ্টি নয়, এর রয়েছে নানা রকম ওষুধি গুণও। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, খেজুর খেলে শরীরে নানা উপকার হয়। তবে শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেই নয়, হাদিসেও খেজুরের উপকারিতার কথা বহুবার উঠে এসেছে।

বিশেষ করে মদিনার ‘আজওয়া খেজুর’ নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একাধিক বর্ণনায় এসেছে আশ্চর্যজনক সব উপকারের কথা।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,‘মদিনার উচ্চভূমিতে উৎপন্ন আজওয়া খেজুরের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে। আর প্রথম ভোরে তা খাওয়া হলে এটি বিষের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে (মুসলিম : ৫১৬৮)।’

অন্য এক হাদিসে হজরত সাদ (রা.) বলেন, আমি নবীজিকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ বা জাদুটোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না (বুখারি : ৫৪৪৫)।’

একবার হজরত সাদ (রা.) অসুস্থ হলে নবীজি (সা.) নিজ হাতে তার বুক স্পর্শ করে বলেছিলেন, ‘তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও, সে অভিজ্ঞ চিকিৎসক। তাকে বলো আজওয়া খেজুর চূর্ণ করে সাতটি বড়ি তৈরি করতে (আবু দাউদ : ৩৮৩৫)।’

হজরত আলি (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সাতটি আজওয়া খেজুর খায়, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ দূর হয়ে যায় (কানজুল উম্মাল : ২৮৪৭২)।’

মহানবী (সা.)-এর ইফতারেও খেজুর ছিল প্রধান। হজরত আনাস (রা.) বলেন,‘নবীজি (সা.) কাঁচা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। না পেলে শুকনো খেজুর, সেটাও না পেলে পানি (তিরমিজি)।’

এ ছাড়া তিরমিজির এক হাদিসে তো আজওয়া খেজুরকে জান্নাতের ফল হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লিখিত উপকারিতাগুলো স্মরণে রেখে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন খেজুরও। বিশেষ করে ভোরবেলা নিয়ম করে সাতটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস আপনার জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম