টিকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেছেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, পাঠদান ও যথাযথ মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় আরও বলেন, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো তথ্যপ্রযুক্তি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই। আজ শনিবার রাজধানীর সেনা প্রাঙ্গণে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ১১তম সমাবর্তনে এ কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষার ধারণা ও পদ্ধতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া জরুরি। এ যুগে গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষাপদ্ধতিতে আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার প্রতি অধিক মনোযোগ দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা কুসংস্কার, অজ্ঞতা আর অসমতার বিরুদ্ধে যুক্তি, মানবিকতা ও প্রজ্ঞার আলো হাতে নিয়ে দাঁড়াক।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সমাবর্তনে স্নাতকদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি ইউএপির প্রকৌশল, আইন, ফার্মেসি ও মানবিক শাখার অগ্রগতিতে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অংশীদারত্বকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেন।
সমাবর্তনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউএপির রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুল অব ফার্মেসির ডিন মহিউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন মাহবুবা হক নবী ও উপাচার্য কামরুল আহসান। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন উল্কাসেমি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট এনায়েতুর রহমান।
এবারের সমাবর্তনে তিনজন শিক্ষার্থী আচার্য স্বর্ণপদক ও ১৫ জন উপাচার্য স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ১ হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়।
সূত্র: প্রথম আলো