মঙ্গলবার   ২৮ অক্টোবর ২০২৫ || ১২ কার্তিক ১৪৩২

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১০:০২, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

স্তন ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসকের চমকপ্রদ তথ্য

স্তন ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসকের চমকপ্রদ তথ্য
সংগৃহীত

স্তন ক্যানসার নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন ড. সেলওয়া আল-হাজ্জা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা কয়েক মিনিটেই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. সেলওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করার এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত হেলথ টেক স্টার্টআপ এসডিএম ‘সামিয়া’ (এসএএমআইএ–সৌদি অটোমেটেড ম্যামোগ্রাম ইমেজ অ্যানালাইসিস) নামের একটি স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করেছে। এটি মাত্র কয়েক মিনিটেই রোগীর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্ণয় করতে পারে।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সামিয়া চালুর জন্য অক্টোবর মাসকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ এই মাসটি বিশ্বব্যাপী ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে পালিত হয়।

ড. আল-হাজ্জা বলেন, যখন একজন নারী ম্যামোগ্রাম করান, সাধারণত তাকে কয়েক দিন বা এমনকি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, যা অত্যন্ত মানসিক চাপের। কিন্তু সামিয়ার মাধ্যমে রিপোর্ট পাওয়া যায় মিনিটের মধ্যেই—কখনো কখনো এক মিনিটেরও কম সময়ে।

ম্যামোগ্রাম নেওয়ার পর সেটি সরাসরি ক্লাউডে পাঠানো হয়, যেখানে সামিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবিটি বিশ্লেষণ করে ক্যান্সারের সম্ভাব্য অংশগুলো চিহ্নিত ও গ্রেড করে। ফলে চিকিৎসকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সৌদি আরবের কিং আবদুলআজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওথেরাপি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওমর ইস্কান্দারানি বলেন, এআই ক্যান্সার শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এটি চিকিৎসার পরিকল্পনা ও নির্ভুলতা বাড়াচ্ছে এবং রোগীভিত্তিক চিকিৎসাকে আরও কার্যকর করছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে রোগ নিরাময়ের হার ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চিকিৎসা ব্যয় ২০-৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৫০ শতাংশেরও বেশি স্তন ক্যান্সার রোগী দেরিতে শনাক্ত হন, যেখানে উন্নত দেশগুলোতে এই হার মাত্র ২০ শতাংশ। দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু হার বেশি এবং চিকিৎসা ব্যয়ও বহুগুণ বেড়ে যায়।

ড. সেলওয়া জানান, অন্যান্য এআই ম্যামোগ্রাম প্রযুক্তিগুলো বিদেশে তৈরি, যা সৌদি রোগীদের ওপর পরীক্ষিত নয়। কিন্তু সামিয়া স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এটি ২৫ হাজার সৌদি রোগীর ম্যামোগ্রাম ডেটা ব্যবহার করে প্রশিক্ষিত হয়েছে, ফলে এটি আরও নির্ভুল ফলাফল দিতে সক্ষম।

তিনি বলেন, এআই কখনও চিকিৎসকের বিকল্প নয়, বরং এটি তাদের কাজকে আরও দ্রুত ও দক্ষ করে তুলবে। চিকিৎসকরা একই সময়ে বেশি রোগী দেখতে পারবেন, যা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করবে।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ

শিরোনাম