মঙ্গলবার   ২৮ অক্টোবর ২০২৫ || ১২ কার্তিক ১৪৩২

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১০:০৩, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা, বাতাসের গতিবেগ ২৮২ কিমি

আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা, বাতাসের গতিবেগ ২৮২ কিমি
সংগৃহীত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা। ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার এ হারিকেনটি ক্যারিবীয় দেশ জ্যামাইকায় আঘাত হানতে চলেছে। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে প্রাণহাণির ঘটনাও ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল (২৮২ কিলোমিটার) বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়টি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালেই জ্যামাইকাতে আঘাত হানতে পারে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন কেন্দ্র (এনএইচসি) ‘বিপর্যয়কর ও প্রাণঘাতী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এর প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্যামাইকায় অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এনএইচসির সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ বাতাসের বেগ ও নিম্নচাপের বিচারে মেলিসা এখন পর্যন্ত ২০২৫ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে এটি রাজধানী কিংস্টনের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ২৩৩ কিমি দূরে অবস্থান করছে এবং ঘণ্টায় মাত্র ৬ কিমি গতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, যদি মেলিসা এই শক্তি নিয়েই স্থলভাগে আঘাত হানে, তবে এটি হবে ১৮৫১ সালের পর থেকে জ্যামাইকায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন।

এনএইচসির পরিচালক মাইকেল ব্রেনান বলেন, কেউ বাইরে বের হবেন না। প্রাণঘাতী বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের সময় বাইরে যাওয়া বিপজ্জনক—কারণ মেলিসার গতি হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যামাইকার কিছু এলাকায় ৪০ ইঞ্চি (প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে, যা ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি করতে পারে। এনএইচসির উপপরিচালক জেমি রোম বলেন, ঝড়টি ধীরগতিতে চলায় টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। এটি জ্যামাইকার জন্য এক বিপর্যয়কর ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।

জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস দ্বীপজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে তাৎক্ষণিকভাবে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রত্যেক জ্যামাইকানকে প্রস্তুত থাকতে হবে, ঘরে অবস্থান করতে হবে এবং সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মানতে হবে। আমরা এই ঝড় মোকাবিলা করব এবং আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব।

শিক্ষামন্ত্রী ডানা মরিস ডিকসন জানান, দেশজুড়ে ৮৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র সক্রিয় করা হয়েছে। অক্টোবরজুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় মাটি আগেই ভেজা, ফলে অতিবৃষ্টি ভয়াবহ ভূমিধস ডেকে আনতে পারে।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ

শিরোনাম