বইমেলায় শিশু-কিশোরের আকর্ষণের কেন্দ্রে সিসিমপুর
বেলা তখন সাড়ে ১১টা, বইমেলা শিশু চত্বরের সিসিমপুরের কর্ণারে একে একে প্রবেশ করল সিসিমপুরের জনপ্রিয় সব চরিত্র। ইকরি, টুকটুকি, হালুম ও সিকুদের সঙ্গে নেচে গেয়ে ঘণ্টাব্যাপী মেতে ওঠে শিশু-কিশোররা। বই পড়তে পছন্দ না হলেও মেলায় এক ঝলক সিসিমপুরের বন্ধুদের দেখতেই মেলায় এসেছেন অনেক শিশু-কিশোর।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ছিল বইমেলার শিশু প্রহর। শিশু প্রহরের প্রথম প্রহরে সিসিমপুরের শো শেষে কথা হয় রাজধানীর ওয়াই ডাব্লিউ সিএ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তুলির সঙ্গে।
বই পড়তে পছন্দ না হলেও সিসিমপুরের বন্ধুদের এক ঝলক দেখতে এসেছেন সানজিদা ইসলাম তুলি। তুলি বলেন, আমার বই পড়তে ভালো লাগে না। আমি শুধু সিসিমপুরের বন্ধুদের দেখতে এসেছি। অনেক ভালো লেগেছে আমার।
এদিকে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নওরিন জানায়, সিসিমপুরের তার প্রিয় চরিত্র সিকু। বাবার সঙ্গে মেলাতে এসেছে এই সিকু ভক্ত। ডেইলি বাংলাদেশকে নওরিন বলেন, আমার পছন্দের চরিত্র হলে সিকু। কারণ সিকু আবিষ্কার করতে পছন্দ করেন। তাছাড়া আমি বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চাই। মেলাতে সিসিমপুরের স্টল থেকে কিছু বই কিনেছি। আমার কিছু সায়েন্স ফিকশন বই কেনারও ইচ্ছে রয়েছে।
সিসিমপুর ছোট শিশু-কিশোরদের মন জুড়ে এক বড় জায়গা দখল করেছে, একই সঙ্গে গানের মাধ্যমে তারা যেই বার্তা দেয় এটি ছোট শিশু-কিশোরদের মধ্যে এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নেওয়াজ আলী।
তিনি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমার ছয় বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছি। তার সিসিমপুর অনেক পছন্দ। সিসিমপুরের অন্যতম চরিত্র হালুম, এই চরিত্রটি আজকের শোতে বার্তা দিয়েছে। যে তার বন্ধু হতে হলে বেশি করে সবজি খেতে হবে। আমি আমার সন্তানকে বলেছি, যে হালুমের বন্ধু হতে তার সঙ্গে ছবি তুলতে ও বন্ধুত্ব করতে বেশি বেশি সবজি খেতে হবে। সে প্রস্তাবে রাজিও হয়েছে। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে সিসিমপুর কর্তৃপক্ষ এমন শো’র মাধ্যমে তারা এমন শিক্ষামূলক বার্তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এদিকে বইমেলার সিসিমপুরের বইয়ের স্টলে ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার মেলাতে তাদের ১৭টির মতো নতুন বই এসেছে। অমর একুশে বইমেলায় সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়কে শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি।
এছাড়া মাসব্যাপী বইমেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা, বিকেল সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনটি করে শো করবে সিসিমপুর।
সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ