শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ || ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আজ চকলেট ডে: প্রেমিকার অভিমান ভাঙুক চকলেটেই

আজ চকলেট ডে: প্রেমিকার অভিমান ভাঙুক চকলেটেই
সংগৃহীত

ভ্যালেন্টাইন’স সপ্তাহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। রোজ ডে, প্রপোজ ডে’র পর আজ পালিত হচ্ছে চকলেট ডে। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব চকলেট দিবস। চকলেট যেমন অভিমান ভাঙতে পারে, তেমনই পারে দেওয়া-নেয়ার সম্পর্কও আরও মধুর করতে।

পশ্চিমা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরাও দিনটি উদ্‌যাপন করছেন। যদিও ঐতিহাসিক ভাবে এ দিনটি পালনের কোনও প্রথার নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, তবে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ‘চকলেট ডে’ পালন একটু দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটির মতোই।

‘চকোলেট’ এর স্বাদ প্রথম পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার মায়া সভ্যতা। নামটিও এসেছে তাদের ভাষার ‘স্কোকোলেট’ থেকে। যার অর্থ অম্ল পানীয়। কোকো গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত এই চকোলেট গোড়ার দিকে মূলত পানীয় হিসাবেই ব্যবহার করা হত। সে আমলে আবার অনেকে তা রান্নার মশলা হিসাবেও ব্যবহার করতেন। তখন কেবল মায়া রাজ পরিবারের সদস্য, প্রশাসক, ধর্মগুরু, সৈনিক এবং সম্মানীয় বণিক সম্প্রদায়ই একমাত্র এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারত।

পরবর্তীকালে মায়াদের কাছ থেকে চকোলেটের ব্যবহার শিখে নেয় আজটেকরা। তাদের আরাধ্য দেবতা কোয়েটজালকটলই নাকি এই কোকো গাছ পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। আর এই গাছের ফল খেলে সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতা দুই-ই জয় করা যায়। এমনই বিশ্বাস ছিল আজটেকদের। সেই কারণে ওই দেশে কোকো গাছ দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয়। এমনকি দেবতাকে চকোলেট উৎসর্গ করারও নজির রয়েছে।

আধুনিক চকোলেটের প্রথম কারখানা গড়ে ওঠে স্পেনে। জানেন কি, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় চকলেট কোনটি? ক্যাডবেরি ডেইরি মিল্ক। জানা যায়, জর্জ ক্যাডবেরি (জুনিয়র) স্পেন থেকে ক্যাডবেরি বারের রেসিপিটি শিখে এসে প্রথম এটি তৈরি করেন ১৯০৫ সালে। তবে ক্যাডবেরি কোম্পানির প্রথম সদস্য হিসাবে ধরা হয় জন ক্যাডবেরিকেই। এর আগে বার্মিংহামের বুলস্ট্রীটে তিনি একটি চায়ের দোকান চালাতেন। বর্তমানে অবশ্য পশ্চিম এশিয়ার দেশ যেমন, ঘানা, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, সিয়েরা লিওন ইত্যাদি দেশ থেকে উন্নতমানের কোকো বীজ আমদানি করে ক্যাডবেরি প্রস্তুত করা হয়।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ