মঙ্গলবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৫ || ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১৬:১৪, ১১ অক্টোবর ২০২৫

অটোমোবাইল

পালসার বাইকের যে সমস্যাগুলো থামছেই না

পালসার বাইকের যে সমস্যাগুলো থামছেই না
সংগৃহীত

বাজাজ পালসার, বাইকপ্রেমীদের কাছে এক জনপ্রিয় নাম। মাইলেজ আর স্পোর্টি লুকে মন জিতলেও এই বাইকের পুরনো কিছু সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না। চালকদের রিভিউ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, কম-বেশি এক ডজনেরও বেশি নিয়মিত ত্রুটি এই সিরিজের বিভিন্ন মডেলে বারবার দেখা গেছে।

ইলেকট্রিক্যাল গোলমাল থেকে শুরু করে ইঞ্জিন, ব্রেক, এমনকি সাসপেনশন; তালিকা বেশ লম্বা। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত দেখভাল ও সঠিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করলে এই ত্রুটিগুলো সহজেই এড়ানো যায়।

শুরুতেই আসে ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা। যা চালকদের সবচেয়ে বেশি ভোগায়। স্পিডোমিটার/ডিজিটাল ডিসপ্লে মাঝেমধ্যে অচল হয়ে যাওয়া, সিডিআই-এর ব্যর্থতা বা ওয়্যারিং-এর দুর্বলতা সবই যেন সাধারণ চিত্র। বিশেষ করে বর্ষায় বা রাতের বেলা কানেকশন লুজ বা পানি ঢোকার কারণে এই সমস্যা বাড়ে।

জ্বালানি সিস্টেমেও ঝামেলা কম নয়। তেল খানিকটা পুরোনো হলেই ইনজেক্টর বা কার্বুরেটরে বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে আইডলিং-এ সমস্যা, টান কমে যাওয়া ও মাইলেজ ঘাটতি দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে পিস্টন রিং এর ওপর অল্প চাপ পড়লেও সাদা ধোঁয়া ও শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

গিয়ারবক্স ও ক্লাচ নিয়েও চালকদের অস্বস্তি রয়েই গেছে। মাঝে মাঝে গিয়ার ঠিকমতো না পড়া, ক্লাচ স্লিপ করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও চেইন-স্প্রোকেট দ্রুত ক্ষয়, ব্রেক প্যাডের আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া এবং সাসপেনশনের দুর্বলতাও নিয়মিত ত্রুটির তালিকায় পড়েছে।

এছাড়াও ওভারহিটিং, এয়ার ফিল্টার ব্লক, দুর্বল ব্যাটারি, বডি প্যানেলে ক্ষয় ও সাইলেন্সারে মরিচা/লিক-এর মতো ছোট-বড় সমস্যাও অনেক রিপোর্টে উঠে এসেছে। এসবের পেছনে মূলত খারাপ রাস্তা, নিম্নমানের জ্বালানি ও নকল খুচরা যন্ত্রাংশকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মডেলভেদে অভিজ্ঞতা: রাইডাররা যা বলছেন

বিভিন্ন বাইকার গ্রুপের রিভিউ থেকে পাওয়া সূত্র মতে, পালসার ১৫০-এর চালকরা টায়ারের পাতলা গঠন ও ভারী হ্যান্ডেলবার নিয়ে অসন্তুষ্ট। ভেজা রাস্তায় স্কিড-এর ভয় ও কর্নারিং-এ কনফিডেন্স হারানোর কথাও বলেন অনেকে। এছাড়াও হেডল্যাম্পের আলো বাড়ানোর দাবিও বেশ জোরালো।

এদিকে এন১৬০ চালকরা মাঝে মাঝে 'ফলস শিফট' সমস্যা অর্থাৎ মাঝে মাঝে গিয়ার ঠিকমতো না পড়া ও ভিড়ের ট্রাফিকে টর্ক-লস অনুভব করার কথা জানান।

তবে এন২৫০ মডেল তার শক্তিশালী ইঞ্জিন, আধুনিক ডিজাইন, আরামদায়ক সাসপেনশন ও উন্নত ব্রেকিং সিস্টেমের জন্য অনেক ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। যদিও মূল্য ও ওজন নিয়ে নাখোশ অধিকাংশই।  

সব মিলিয়ে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে চালকরাও সমস্যাগুলো নিয়ে একমত। তবে উভয়েরই বিশ্বাস, নিয়মিত ও মানসম্মত সার্ভিস, সঠিক তেল এবং ভালো খুচরা যন্ত্রাংশই এই সমস্যাগুলো এড়ানোর একমাত্র উপায়।

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

সর্বশেষ

শিরোনাম