মঙ্গলবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৫ || ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১৬:৫১, ১১ অক্টোবর ২০২৫

শিশুর উচ্চতা বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন এই ৪ জিনিস

শিশুর উচ্চতা বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন এই ৪ জিনিস
সংগৃহীত

বাচ্চা বড় হচ্ছে, কিন্তু উচ্চতা যেন ঠিকমতো বাড়ছে না— এই চিন্তা অনেক বাবা-মায়ের মনেই ঘুরপাক খায়। যদিও শিশুর বাড়ন্ত সময়ে উচ্চতা নির্ভর করে জিন, ঘুম, ব্যায়াম ও পুষ্টির ওপর, তবে সঠিক খাবার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করতে পারে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, কোন কোন খাবার শিশুর হাড় ও পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ডিম ও মুরগির মাংস : প্রোটিনে ভরপুর

ডিম আর মুরগির মাংস— দুটিই প্রোটিনের দারুণ উৎস। প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে সাহায্য করে, যা উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লাভিন), যা হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রতিদিন একটি করে ডিম আর মাঝে মাঝে সেদ্ধ মুরগি খাওয়ালে শিশু প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে।

সবুজ শাকসবজি ও ফল : ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর

অনেক শিশু সবজি খেতে চায় না। তাই একবারে না খাইয়ে অল্প অল্প করে সেদ্ধ করে, সালাদ বানিয়ে বা পছন্দমতো রেঁধে দিন।

উপকারী সবজি :

- পালংশাক, মেথি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি

এসব সবজিতে থাকে ভিটামিন C, K, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টিবিদদের মতে :

- ১টি মাঝারি আলুতে প্রায় ৩ গ্রাম ক্যালসিয়াম

- ১ কাপ ব্রকোলিতে প্রায় ৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম

মিনে রাখবেন, ফলও জরুরি। রঙিন ফল যেমন পেঁপে, কমলা, আম— এসব ভিটামিনে ঠাসা।

সয়াবিন : উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের রাজা

সয়াবিন শুধু প্রোটিন নয়, এতে ক্যালসিয়ামও থাকে, যা হাড় ও পেশি গঠনে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সয়াবিন খেলেই শিশু পর্যাপ্ত প্রোটিন পায়।

সয়াবিন সেদ্ধ করে, সয়াবিন চিলা বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার : হাড়ের শক্তি বাড়ায়

যদি শিশুর ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকে, তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়ানো ভালো।

দুধে থাকে :

- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D, যা হাড় বড় ও মজবুত করতে সাহায্য করে

- সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন A, B ও E

পনির, দই ও ঘি-ও শিশুর ডায়েটে রাখতে পারেন (পরিমাণ বুঝে)।

শুধু ভালো খাবার দিলেই হবে না— শিশুর ঘুম, খেলা, ব্যায়াম, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভালোবাসা— সবকিছু মিলেই তার সুস্থ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত হয়। তাই ওর প্রতিদিনের পাতে একটু সচেতনভাবে এই পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখুন, আর বাকি দায়িত্ব ছেড়ে দিন প্রকৃতির হাতে।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ

শিরোনাম