রোববার   ১৯ মে ২০২৪ || ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১১:১২, ২২ এপ্রিল ২০২৪

জয়পুরহাটে তীব্র গরমে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

জয়পুরহাটে তীব্র গরমে ঝরে পড়ছে আমের গুটি
সংগৃহীত

জয়পুরহাটে আমের গাছগুলোতে দেশের অন্য এলাকার মতো ব্যাপক হারে আমের গুটি এলেও তীব্র গরমে কারণে হলুদ বর্ণ ধারণ করার পাশাপাশি ঝড়ে যাচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে আমের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলার কৃষকরা। ছোট ছোট গুটিগুলোকে রক্ষায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আম গাছের গোড়ায় পানি সেচসহ গাছে শুধু পানি স্প্রে করতে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আমের জন্য এ জেলা তেমন বিখ্যাত না হলেও স্থানীয় জাতের ‘নাক ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ আম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে। জেলায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার টন। এ ছাড়াও  বেসরকারি পর্যায়ে পাঁচ শতাধিক ছোট ছোট আমের বাগানও  রয়েছে। স্থানীয় জাতের মধ্যে ‘নাক-ফজলি’ সুবর্ণরেখা, সুরমাফজলি, ক্ষিরশাপাত, আম্রপালি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, নেংরা আম বেশ জনপ্রিয়। 

স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয় নাক-ফজলি আম কিছুটা লম্বাটে দেখতে অনেকটা নাকের মতো আকৃতির তাই এর নাম নাক ফজলি। এ আমের মধ্যে বিচি থাকে ছোট। খেতে বেশ সুস্বাদু এবং গন্ধময় অল্পদিনের মধ্যে আমটি শেষ হয়ে যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করলেও সেই আশা এখন অনেকটা গুড়ে বালি। জয়পুরহাটের আমের গাছগুলোতে দেশের অন্য এলাকার মতো ব্যাপক হারে আমের গুটি এলেও তীব্র তাপদাহের কারণে হলুদ বর্ণ ধারণ করার পাশাপাশি ঝড়ে যাচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে আমের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা। 

ছোট ছোট গুটিগুলোকে রক্ষায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আম গাছের গোড়ায় পানি সেচসহ গাছে শুধু পানি স্প্রে করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ